Header Ads Widget

Responsive Advertisement

দীঘা নিয়ে নতুন করে কিছু আর বলার নেই..

 বাঙালির "দী-পু-দা"....নতুন ভাবে দেখা!! 


দীঘা নিয়ে নতুন করে কিছু আর বলার নেই..
কিন্তু এই পোস্টে যা বলবো, তা আমার কাছে বেশ নতুন!! 

কম খরচায় আমোদ-প্রমোদ এর জন্য ওল্ড্ দীঘা, নিউ দীঘা তো অনেক হলো!!
এছাড়া একটু দূরে নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে হলে তাজপুর, সঙ্করপুর এবং মন্দারমনি এখন একঘেয়ে। 

কিন্তু জনবহুল দীঘার বেশ কাছেই যদি হয় সবুজ প্রকৃতির কোলে এক দুর্দান্ত নিরিবিলি জায়গা ?? যাবেন নাকি ?? 

নিউ দীঘা এবং উদয়পুরের মাঝে আছে দত্তপুর, যেখানে পাবেন একদম নিরিবিলি পরিবেশে আচ্ছন্ন (ওসিয়ানা বীচ্)।

ঝাউবনে ঘেরা সুন্দর এই সৈকতে প্রবেশ করলে মনে হবে যেন আপনি এসে পড়েছেন একদমই আলাদা রকমের এক জায়গাতে।

●কেমন ভাবে যাবেন ??

দীঘা স্টেশন থেকে যেকোনো টোটো কিংবা অটোতে পৌঁছে যান প্রায় 3km দূরে অবস্থিত এই ওসিয়ানা গেস্ট হাউস।

টোটো ভাড়া : 150/- (total)

●কোথায় থাকবেন ?? 

এই সমুদ্র সৈকতের একদম কাছেই পাবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা পরিচালিত মৎস উন্নয়ন নিগমের ওসিয়ানা টুরিস্ট কমপ্লেক্স এর গেস্ট হাউস।
২০১০ সালে এর উদ্বোধন হলেও অনেকের কাছেই জায়গাটি এখনও অজানা এবং নতুন। 

এই গেস্ট হাউসে পাবেন AC ডবল বেড রুম, যার ভাড়া 1400/- থেকে 1800/- per day.
এখানে 1400/- টাকার ঘর আছে মাত্র দুটি, তাই এই ঘর নিতে চাইলে অনেকটাই আগে বুক করতে হয়। 

এছাড়াও এখানে আছে নিজস্ব রেঁস্তোরা।

●কিভাবে বুক করবেন ?? 

এখানে রুম বুক হয় অনলাইনে এদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে। 

●কাছাকাছির মধ্যে দ্রষ্টব্য ?? 

এখানে থেকে কাছাকাছির মধ্যেই ঘুরে দেখা যায়.... 

++ঢেউ সাগর পার্ক
++উদয়পুর
++তালসারি 
++চন্দনেশ্বর মন্দির 
++মেরিন একুয়ারিয়াম 
++বিশ্ব বাংলা পার্ক
++অমরাবতী পার্ক
++কাজল দীঘী পার্ক

দীঘার কাছেই, শান্ত পরিবেশে নিরিবিলিতে থাকার জন্য এই ওসিয়ানা সমুদ্র সৈকত একটি আদর্শ জায়গা।
এই সমুদ্র সৈকত থেকে পায়ে হেঁটেই পৌঁছানো যায় দীঘার এক দুর্দান্ত চমক (ঢেউ সাগর পার্ক).
এছাড়াও এই বীচ্ থেকে অনায়াসে পৌঁছোতে পারবেন উদয়পুর বীচ্। 

এই সফরের কিছু দুর্দান্ত মুহুর্ত শেয়ার করলাম আমার এই পোস্টে। 

এছাড়াও, 2N 3D এখানে থেকে আমরা কি দেখলাম, দ্রষ্টব্য গুলি দেখতে কতই বা ভাড়া লাগল, ওসিয়ানা বীচ্ এবং এই গেস্ট হাউসের একটি বিস্তারিত মানসভ্রমন পেতে নীচে দেওয়া এই ভিডিওটি চাইলে দেখতে পারেন।



খুব শীঘ্রই সুড়ঙ্গ পথ তৈরিতে গোটা বিশ্বে নজির গড়তে চলেছে ভারত। তৈরি হবে বিশ্বের উচ্চতম সুড়ঙ্গ, হিমাচল প্রদেশ থেকে লাদাখের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করবে এটি। তৈরি করবে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (BRO)। দেশের এই সুড়ঙ্গটি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে যে নাম তুলতে চলেছে, তা আশা করা যায়। বছর তিনেকের মধ্যেই এটি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছে Ministry of Road Transport and Highways ।
   বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন দেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় রাস্তা তৈরি এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। বিআরও-র ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব চৌধুরি বলেন, বিশ্বের উচ্চতম সুড়ঙ্গটি ভারতের সিঙ্কুলা পাসে ১৬,৫৮০ ফুট উচ্চতায় তৈরি করা হবে। রবিবার তিনি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিঙ্কুলা পাসে হিমাচল প্রদেশ থেকে জাঁস্কর রোড গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেন। ৬টির বেশি গাড়ি জাঁস্কর থেকে সিঙ্কুলা গিরিপথ হয়ে মানালির দিকে যায়।
   ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী সংবাদসংস্থা PTI-কে বলেন, এ বছরের জুলাই মাস থেকে হিমাচল প্রদেশ থেকে লাদাখের জাঁস্কর ভ্যালির সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। তিনি জানান, এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ‘প্রজেক্ট যোজক’ নামে একটি টিম গঠন করে দিয়েছেন। এই সুড়ঙ্গটি দুটি অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াতের সময় এবং কষ্ট অনেকটাই কমিয়ে আনবে বলে জানা গেছে। এই সুড়ঙ্গের দক্ষিণ অংশটি সিঙ্কুলা পাসে অবস্থান করবে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা ১৬,০০০ ফুটের অধিক। এটি হিমাচল প্রদেশ এবং লাদাখের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করবে।
  আবার সুড়ঙ্গের উত্তরাংশটি জাঁস্কর ভ্যালি এবং লাখাঙ্গের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করবে। বর্তমানে মানালি থেকে দারচা যেতে হলে সিঙ্কুলা গিরিপথের দিকে বাঁক নেওয়া এবং জাস্কর ভ্যালিতে পৌঁছানোর আগে ১০০ কিলোমিটারের অতিরিক্ত পথ যাত্রা করতে হয়। এই সুড়ঙ্গটি তৈরি হলে যাত্রাপথের দূরত্ব অনেকটাই কমে আসবে। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের উচ্চতম সুড়ঙ্গটি চীন বা মতান্তরে পেরুতে অবস্থিত। গত বছর বিআরও উমলিংলা পাসে বিশ্বের সর্বোচ্চ রাস্তা তৈরি করেছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যা ১৯,৩০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। উমলিংলা পাস ছাড়াও লাদাখে মোটরগাড়ি চলাচলের জন্য বিশ্বের উচ্চতম সাতটি গিরিপথ রয়েছে। প্রতিটি উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,০০০ ফুটের অধিক। The Kashmir Monitor এবং #TechGupIndia -এর সৌজন্যে সংগৃহীত তথ্য/ছবি।

গৌরীকুন্ড, রামওয়াড়া আর কেদারের ঘোড়া 

জীবনে একবারই ঘোড়ায় চড়েছিলাম, সেটা আমার তৃতীয়বার কেদার যাবার সময় । সেটা ২০১১ সালের কথা । কেদারের মহাদুর্যোগের আগের ঘটনা। তখন হাঁটা পথ শুরু হত গৌরীকুন্ড থেকে । মোট ১৪ কিমি রাস্তা, মাঝখানে ছিল রামওয়াড়া, গৌরীকুন্ড থেকে ৭ কিমি দূরে । হরিদ্বার থেকে যাত্রা শুরু করে ঋষীকেশ, দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ হয়ে কেদারের পথে আগের রাতে আমরা সীতাপুরে ছিলাম ৷ সীতাপুর থেকে গৌরীকুন্ড মাত্র চার কিমি ৷ তখন গৌরীকুন্ড থেকেই ছিল কেদারের হাঁটা পথের শুরু ৷ পরদিন অনেক সকালে গৌরীকুন্ডে গিয়ে দেখি মার মার কাট কাট ব্যাপার, শয়ে শয়ে ঘোড়া যাবার প্রতীক্ষায় দাড়িয়ে । ঘোড়াওয়ালাদের সঙ্গে দরদাম চলছে, যাদের দর ঠিক হয়ে যাচ্ছে তারা পটাপট ঘোড়ায় উঠে জয় বাবা কেদারনাথ বলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । ছেলে, বউকে গৌরীকুন্ড থেকে ঘোড়ায় তুলে দিয়েছি । আমি হেঁটে চলেছি, আমার ফটো তোলার বাতিক আছে, হেঁটে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই । অনেক সকালে বেরিয়েছি, চারিদিকের স্বর্গীয় শোভা দেখতে দেখতে যাচ্ছি । কথা আছে ওরা রামওয়াড়ায় আমার জন্য অপেক্ষা করবে, রামওয়াড়া এপথের মাঝখানে বড় বিশ্রামের জায়গা, একসঙ্গে কিছু খাওয়াদাওয়া করে আবার যাত্রা শুরু করবো । ঘোড়া করে যাবার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওরা রামওয়াড়ায় অনেকক্ষণ আগেই পৌছিয়ে গিয়েছে এবং বসে আছে আমার জন্যে কিন্তু আমার আর দেখা নেই। ওদের খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করছে, ঘোড়াওয়ালারা অস্থির হয়ে যাচ্ছে, কিন্ত তবুও আমার দেখা নেই । ক্রমশ আমার অনুপস্থিতি ওদের কাছে গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাড়াল । অবশেষে ক্লান্ত আমি রামওয়াড়া পৌছলাম । একসঙ্গে চা এবং টুকটাক কিছু খাওয়া দাওয়া হল, তারপর ওরা আমাকে আর হাঁটতে দিতে রাজী হল না । আমার জন্য আগে থেকেই ওরা একটা ঘোড়ার ব্যবস্থা করে রেখেছিল । মাঝখান থেকে অনেক কম পয়সায় ঘোড়া পেয়েছিলাম বটে কিন্ত আমার ছবি তোলার বারোটা বেজে গিয়েছিল। শুনেছিলাম ২০১৩ র সেই মহাদুর্যোগে অনেক ঘোড়া মারা পড়েছিল, আর ততোধিক ঘোড়া মারা গিয়েছিল পরবর্ত্তীকালে না খেতে পেয়ে । পর্যটকশূর্ন্য কেদারনাথে তখন ওদের মালিকদেরই খাবার সংস্থান নেই, ঘোড়ারা আর খাবে কোথা থেকে । সে ভারী দুঃখের কথা । ভাবলেই মন খারাপ হয়ে যায় । যাক তারপর নতুন রাস্তা তৈরী হবার পর অনেকদিন পরে আবার যাত্রা শুরু হয়েছিল । কিন্তু সেই রামওয়াড়া হারিয়ে গেল কালের গর্ভে, সে এখন শুধুই বেচে রয়েছে ছবিতে, আর স্মৃতিতে । কেদারে ঢোকার মুখে ২ কিমি আগে দেওদেখনী বলে একটা জায়গা ছিল,  ১২ কিমি এসে যেখান থেকে প্রথম এক ঝলক সমগ্র কেদারকে দেখা যায় ৷ সেখানে এসে দূর থেকে কেদারবাবাকে প্রথম দর্শন করে প্রায় সবারই চোখে জল এসে যায় ৷ আমারও একই অবস্থা হয়েছিল মনে আছে ৷ মনে হয়েছিল জীবনে মোক্ষলাভ হল ৷ আমরা বিকেল নাগাদ কেদারনাথে পৌছিয়েছিলাম ৷ আমি কেদারনাথে তিনবারই কালীকম্বলী ধর্মশালায় ছিলাম, এদের ব্যবস্থা বেশ ভালোই ছিল ৷ ধর্মশালায় গিয়ে একটু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে যখন মন্দিরের দিকে পা বাড়ালাম তখন সন্ধ্যেবেলা মন্দিরে ঘন্টা বাজা শুরু হয়েছে ৷


।।আদিযোগী দর্শন।।
ভাগ্যিস এবছর বাংলা নববর্ষ আর গুড ফ্রাইডের সমাপতন ঘটলো, তাই আর দেরি না করে ব্যোম ভোলে বলে অফিসের সহকর্মীরা মিলে বেঙ্গালুরু থেকে ট্রেনে র‌ওনা দিলাম কোয়েম্বাটুরের উদ্দেশ্যে। প্রায় সাড়ে সাত ঘন্টার যাত্রা শেষে ভোরবেলা ওখানে পৌঁছে হোটেল খুঁজতে গিয়ে প্রায় নাকানিচোবানি খেতে হল কারন ওই কাকভোরে রিশেপসনের সবাই লক্ষনরেখা কেটে নাসিকাগর্জনে ব্যস্ত। অবশেষে স্টেশন থেকে বাসস্ট্যান্ডে এসে একটুখানি পকেট হালকা করে হোটেলপ্রাপ্তি ঘটল আমাদের। সকাল ন'টার দিকে মশালাধোসা উদরস্থ করে আমরা 14D বাসে চেপে র‌ওনা দিলাম ত্রিশ কিমি দূরে সদগুরু প্রতিষ্ঠিত Isha Foundation এর উদ্দেশ্যে। বাসভাড়া 40 টাকা এবং যাত্রার সময় প্রায় এক ঘন্টা। বাস শহর ছেড়ে এগোতেই যাত্রাপথের দুপাশে ছড়িয়ে থাকা সারিবাঁধা সুপারি, কলা, নারকেলের বাগান চোখে পড়তে লাগল। এরপর দৃশ্যপটে স্পষ্ট হল ভেল্লানগিরির সবুজাভ পাহাড়রাশি যা আবার 'দক্ষিন ভারতের কৈলাস' নামে বিখ্যাত কারণ এখানে নাকি স্বয়ং মহাদেব দীর্ঘদিন বাস করেছিলেন।
Isha Foundation এর গেটে নেমে ডাবের জলে তৃষ্ণা নিবারণ করে আমরা সবাই হাঁটা লাগালাম সেই বহু প্রতীক্ষিত শিবমূর্তির উদ্দেশ্যে। নীলাভ-সবুজ পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত আদিযোগী মহাদেব আমাদের তীব্রভাবে আকর্ষণ করতে থাকলেন। ১১২ফুট উচ্চতা সম্পন্ন এই মূর্তি Guinness World Records এর মতে 'বিশ্বের সর্বোচ্চ আবক্ষ মূর্তি' যার ওজন প্রায় ৫০০টন। আমরা দুচোখ ভরে মহাদেবের এই মহামূর্তি দর্শন করতে লাগলাম অগুনতি দর্শনার্থীদের সাথে। কাঠফাটা রোদে পুড়ে আমাদের ফোটোশুটও চলতে থাকল। তাই আমি পরামর্শ দেব এখানে আসলে একদম সকালে বা বিকেলে আসবেন। 

এরপর পা বাড়ালাম আশ্রমের বাকি দর্শনীয় স্থানগুলির উদ্দেশ্যে; যাতায়াতের জন্য বলদে টানা গাড়িও পাওয়া যায়। কাউন্টারে ব্যাগ, মোবাইল জমা করে প্রথমে গেলাম সূর্যকুন্ডে যেখানে পুরুষ দর্শনার্থীদের স্নানের ব্যবস্থা রয়েছে। ঝরনার জলে স্নানের পর শরীর ও মনে এক অদ্ভুত শীতলতা-স্নিগ্ধতা আসে। অনুরূপভাবে মহিলাদের জন্য আছে চন্দ্রকুন্ড। এরপর লিঙ্গ ভৈরবী দর্শন করে আমরা ধ্যানলিঙ্গ  মন্দিরে এসে পৌঁছালাম। এই গম্বুজাকৃতি মন্দিরের কেন্দ্র স্হলে অবস্থিত বিশালাকার শিবলিঙ্গ প্রতিনিয়ত দুধ-জলে অভিষিক্ত হচ্ছেন ভক্তদের দ্বারা। অসংখ্য ভক্ত এইস্থানে মেডিটেশন করছেন, আমরাও যোগ দিলাম। আধঘন্টা সেখানে কাটিয়ে যখন ফেরার জন্য আশ্রমের বাসস্ট্যান্ডে এসে বাসে চাপলাম তখন পুব আকাশে কালবৈশাখীর মেঘ দেখা দিয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আদিযোগীর মূর্তি দেখা গেল বাস থেকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম। অবশেষে মনে মনে শিবশম্ভুকে প্রনাম জানিয়ে প্রস্থানের পথ ধরলাম।।
#AdiYogi #ISHA #Coimbatore
      

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ